সামরিক চিকিৎসা সার্ভিস মহাপরিদপ্তরকে পিপিই ও মাস্ক সরবরাহ করল বসুন্ধরা

করোনাভাইরাস সংকট মোকাবেলায় সামরিক চিকিৎসা সার্ভিস মহাপরিদপ্তরকে পিপিই (পারসোনাল প্রটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট) ও মাস্ক সরবরাহ করল দেশের শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপ। গতকাল বুধবার বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর সামরিক চিকিৎসা সার্ভিস মহাপরিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. ফসিউর রহমানের কাছে এক হাজার পিপিই ও ৫০ হাজার মাস্ক হস্তান্তর করেন। এ সময় বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাফওয়ান সোবহান উপস্থিত ছিলেন। অন্য পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনীর অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল মেজর জেনারেল মো. এনায়েত উল্ল্যাহ, সামরিক চিকিৎসা সার্ভিস মহাপরিদপ্তরের কনসালট্যান্ট ডেন্টাল সার্জন জেনারেল মেজর জেনারেল গোলাম মহীউদ্দীন চৌধুরী, কনসালট্যান্ট সার্জন জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান এবং কনসালট্যান্ট ফিজিশিয়ান জেনারেল মেজর জেনারেল মো. আজিজুল ইসলাম।

পিপিই ও মাস্ক হস্তান্তরের সময় বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক করোনাভাইরাস মোকাবেলায় প্রয়োজন হলে ভবিষ্যতে আরো সহযোগিতা দেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন।


প্রসঙ্গত, বসুন্ধরা গ্রুপ করোনাভাইরাসের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরকারকে সহায়তার অংশ হিসেবে পাঁচ হাজার শয্যার হাসপাতাল তৈরিতে সহযোগিতা করতে যাচ্ছে।

গত রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর এ বিষয়ে একটি লিখিত প্রস্তাব হস্তান্তর করেন। এদিন তিনি প্রধানমন্ত্রীর করোনা মোকাবেলার তহবিলে ১০ কোটি টাকার চেক হস্তান্তর করেন। এ ছাড়া বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে রাজধানীর দুস্থ ও নিম্ন আয়ের অনেক পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দেওয়া বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের লিখিত প্রস্তাবে বলা হয়, রাজধানীর কুড়িলে বসুন্ধরার চারটি কনভেনশন সেন্টার ও একটি ট্রেড সেন্টারে হবে পাঁচ হাজার শয্যার হাসপাতাল। কনভেনশন সেন্টারগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড়টি ৩০ হাজার বর্গফুটের। বাকি তিনটি প্রতিটি ২০ হাজার বর্গফুটের। আর ট্রেড সেন্টারের আয়তন এক লাখ ৫০ হাজার বর্গফুট। বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারগুলো বিভিন্ন অবকাঠামোসমৃদ্ধ এবং রাজধানীর মধ্যবর্তী কুড়িল এলাকায় অত্যন্ত পরিচ্ছন্ন ও হাসপাতালে রূপান্তরের অবস্থায় রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সেই প্রস্তাব সানন্দে গ্রহণ করেছেন বলে জানা গেছে এবং সেই প্রস্তাবের ভিত্তিতে হাসপাতালের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং সেনাবাহিনীর ১২ ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যাটালিয়নের প্রতিনিধিদল এরই মধ্যে প্রস্তাবিত স্থান পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করেছে।

Please follow and like us:
Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial